কম্পিউটার স্লো মানেই ওএস দেওয়াটায় একমাত্র সমাধান নয়। ওএস ছাড়াও আরো বেশ কিছু উপায় আছে যাতে আপনার কম্পিউটারের স্প্রিড বাড়াবে। আজকের টপিকটির উপর অনেক ভিডিও অলরেডি ইউটিউবে রয়েছে। কিন্তু সব ভিডিও কার্যকরী নয়। আমি চেষ্টা করেছি ১০টি প্রো টিপস দিয়ে ভিডিওটি সাজাতে যেটি আপনার সাথে সাধারণত কেউ শেয়ার করবে না সুতরাং পুরো ভিডিটি দেখুন।
১. ডিস্ক ক্লিন আপ: অনেক দিন কম্পিউটারে কাজ করলে টেম্প ফাইল, ক্যাস ফাইল জমতে থাকে কম্পিউটার পারফরমেন্স ভালো পেতে এগুলো পরিষ্কার করা জরুরি। টাইপ হেয়ার টু সার্চ থেকে লিখতে হবে ডিস্ক ক্লিনআপ দেখুন উপরে চলে আসলো ক্লিক করতে হবে এখানে। এখানে ড্রাফডাইনে যদি ক্লিক করেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে যতগুলো ড্রাইভ আছে সবগুলিকে দেখতে পাবেন। সি ড্রাইভ প্রথমে ক্নিন করবো। সুতরাং সি ড্রাইভটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় ওকে বাটনটি প্রেস করলাম। যে সবফাইল গুলো ডিলিট হবে তার একটি লিস্ট দেখতে পাচ্ছি। আমি সবগুলোতেই চেক ইন করে দিবো এবং ওকে বাটনটিতে ক্লিক করবো। তারপর ডিলিট ফাইলসে ক্লিক করবো। এভাবে বাকি ড্রাইভগুলোও করে নিতে হবে।
২. স্টাটআপ প্রোগ্রাম: কম্পিউটার ওপেন করার সাথে সাথে অনেক প্রোগ্রাম অটো অন হয়ে যায়। এটির ফলেও আপনার কম্পিউটারের স্প্রিড কমে যেতে পারে। সার্চ করুন স্টাট আপ লিখে তারপর স্টাটআপ অ্যাপসে ক্লিক করুন। আপনার যে সকল প্রোগ্রাম দরকার নেই সেগুলোকে অফ রাখুন।
৩. তৃতীয় টিপসটিও গুরুত্বপূর্ণ (আনওয়ানটেড এ্যাপস আনইন্সেটল): অনেক সময় অনেক সফটওয়ার আমাদের কম্পিউটারে ইনস্টল করি যেগুলো পরে ব্যবহার করা হয় না। এমন সফটওয়ারগুলোকে ডিলিট করা উচিত। কারণ এগুলোও কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সরাসরি প্রোগ্রামে চলে যান তারপর প্রোগাম ও ফিচার্স ক্লিক করুন। এখানে দেখুন আপনার কম্পিউটারে এই পর্যন্ত যত সফটওয়ার ইনস্টল করেছেন সবগুলো দেখাচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ারটি আনইনস্টল করুন। আমি লিবরা অফিস আনইনস্টল করবো। সফটওয়াটির উপর ক্লিক করলাম তারপর আন ইনস্টল। এভাবে বাকিগুলে করে নিন।
৪. উইনডোজ অটো আপডেট অফ রাখা: আপনার কম্পিউটর একটু পুরাতন হলে আপনি সিডিউল আপডেট করে রাখতে পারেন অথবা আপডেট অফ করে রাখতে পারেন। কারণ কিছু ফংশনকে এ্যাকটিভ থাককে হয় উইনডোজ আপডেট রাখতে তাই আপডেট অফ রাখলে এই ফাংশনকে আর কাজ করতে হবে না। আপনার কম্পিউটার ফাস্ট হবে। ইউনডোজ আপডেট সেটিসং এ চলে যান এখানে সাত দিনের জন্য আপডেট বন্ধ রাখতে পারেন। অথবা নিচে এডভান্স অপশন থেকে ডেট সিলেক্ট করে দিতে পারেন। অথবা আপডেট অপসন থেকে সবগুলে অফ রাখতে পারেন।
৫. স্টপ নোটিফিকেশন: যারা বিশেষ করে উইনডোজ 8 এবং 10 ব্যবহার করে থাকেন তারা খেয়াল করে থাকবেন উইনডোজের বিভিন্ন নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। এগুলোকে অফ রাখলে কম্পিউটারের গতি বাড়বে। স্টপ নোটিফিকেশন লিখে সার্চ করবেন। তারপর নোটিফিকেশন এন্ড একশন সেটিসং ক্লিক করবেন। এখানে দেখুন নোটিফিকেশন অন আছে। আপনি সিম্পিলি অফ করে দিন। তাহলে আর কোন নোটিফিকেশন আপনাকে পাঠাতে পারবে না উইনডোজ।
৬. টান অন স্টোরেজ: উইনডোজ ১০ স্টোরেজকে অফটিমাইজ করে সেজন্য এটিকে অন রাখতে হয়। টাইপ হেয়ার টু সার্চ যে যাবেন লিখে দিবেন টান অন স্টোরেজ তারপর ক্লিক করুন আমার এটি অন আছে যাদি আপনারটি অফ থাকে তাহলে সিম্পিলি অন করে দিন। আর কিছু করার দরকার নেই উইনজোজ এখন নিজের থেকেই স্টোরেজ ওফটিমাইজ করবে।
৭. ভিউজুয়াল ইফেক্ট: সাত নম্বর টিপস টি অনেক গুরুত্বপূণৃ আপনার কম্পিউটার যদি একটু পুরাতন হয় বা আপনি যদি অনেক ভালো পারফরমেন্স আশা করেন এই কাজটি করে নিবেন। দিস পিসিতে যাবেন তারপর রাইট বাটন ক্লিক করে প্রোপারটিজ তারপর এডভান্স সিস্টেম সেটিংস এখনে দেখুন অলরেডি এডভ্যান্স ক্লিক রয়েছে পারফরমেন্স থেকে চলে যেতে হবে সেটিংসে এখনে অনেক অফন আছে কাস্টমসে ক্লিক করুন তারপর সকল চেকমার্ক গুলোকে আনচেক করে দিন এখন এ্যাপ্লই ও ওকে প্রেস করুন। কম্পিউটারের কালার কিছুটা ডিগ্রেড হবে এবং গতি তুলনামূলক বৃদ্ধি পাবে।
৮. সি ড্রাইভ ক্লিন আপ: অনেক সময় সি ড্রাইভ লাল হয়ে যায়। আমরা যারা কম্পিউটারে প্রচুর কাজ করি তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হতে দেখা যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর উচিত সি ড্রাইভ ক্লিন আপ করা। ডাউনলোড করা ফাইলগুলে সি ড্রাইভে এসে জমা হয়। যদি আপনার অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল ডাউনলোডে জমে থাকে তাহলে সেটি ডিলিট করুন। কম্পিউটার থেকে টেম্প ও ক্যাস ফাইল গুলো ডিলিট করুন সেটি করার জন্য লিখবেন রান তারপর ইন্টার প্রেস করুন এখন লিখুন পারসেন্টেজ টেম্প আবার পারসেন্টেজ ইন্টার প্রেস করুন। ফাইলগুলো একসাথে সিলেক্ট করার জন্য কন্ট্রোল ও এ একত্রে প্রেস করুন তারপর ডিলিট বাটন প্রেস করুন কিছু ফাইল ডিলিট হলো না এগুলো ইগনোর করুন। পরে আবার লিখুন টেম্প কিন্তু এই বার পারসেন্টেজ ছাড়া লিখতে হবে। একইভাবে ফাইল সিলেক্ট করুন এবং ডিলিট করুন। তারপর লিখুন রিসেন্ট একইভাবে সকল ফাইল সিলেক্ট করুন এবং ডিলিট করুন।
৯. রিসেট দিস পিসি: আমরা সাধারণত রিসেট কথাটি মোবাইলের ক্ষেত্রে বেশি শুনে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি পিসিও রিসেট দেওয়া যায় যার ফলে আপনি আবার নতুনের মত পেয়ে যাবেন আপনার পিসি। সিটিংসে চলে যান এখানে অনেকগুলো অপশন আছে সরাসরি চলে যান আপডেট এন্ড সিকুরিটি তারপর নির্বাচন করুন বামদিক থেকে রিকোভারি তারপর রিসেট দিস পিসির নিচে থাকা গেট স্টাটেড ক্লিক করুন। দুইটি অপশন আছে প্রথমটিতে আপনার ফাইল থাকবে। সি ড্রাইভের সকল কিছু ডিলিট হবে। আর পরবর্তী অপশনে সকল কিছু ডিলিট হবে। অপশন দুটো পড়ে দেখবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। আমি প্রথম অপশনে ক্লিক করবো।
১০. নয় নম্বর টিপস পর্যন্ত আপনি যদি অনুসরণ করেন আর একটু কাজ বাকি। আপনি রিসাইকেল বিনে যান ডেস্কটপ থেকে মাউস থেকে রাইট বাটন ক্লিক করুন এবং এমটি রিসাইকেল বিন করে দিন। অভিনন্দন আপনি সবগুলো ধাপ কমপ্লিট করেছেন। এখন আপনার পিসিটি রিস্টাট করুন। আর ফলাফল দেখুন। ভিডিওটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানান। ভালো না লাগগে কেন ভালো লাগলো না লিখে জানান। ভালো লাগলে একটি লাইক করবেন। আপনি চ্যানেলে নতুন হলে চ্যানেলটি অবশ্যই সবসক্রাইব করে রাখবেন আর বন্ধুদের মাঝে ভিডিওটি শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ