ফেসবুকে যারা এ্যাড দেওয়ার করা ভাবছেন বা এ্যাড নিয়মিত দিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের ভিডিওটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফেসবুকে এ্যাড দেওয়ার আগে যদি আপনি পাঁচটি বিষয় না জেনে এ্যাড দেন তাহলে এ্যাড রেজাল্ট খারাপ হতে পারে। পরীক্ষা দেওয়ার আগে বা ব্যবসায়ের প্রেজেন্টেশনের পূর্বে যেমন প্রস্তুতি নিতে হয় তেমনি ফেসবুক এ্যাড দেওয়ার ক্ষেত্রেও পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন। তাহলে আশাপ্রদ ফল পাওয়া যায়। এছাড়া শট টার্ম ও লং টার্ম এ্যাডের প্লান করা যেতে পারে। যে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।
ব্যবসা কোনো চ্যারিটি নয়, ব্যবসার প্রথম ও শেষ কথা হলো মুনাফা। আর তাই আপনি আপনার ব্যবসাকে কিভাবে বড় করবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট প্লান থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে শট টার্ম ও লং টার্ম প্লান করা যেতে পারে। আর প্লান অনুযায়ি এ্যাড অবজেকটিভ সিলেক্ট করতে হবে। মনে রাখবেন এ্যাড রেজাল্ট অনেকাংশেই নির্ভর করে সঠিক এ্যাড অবজেটিভের উপর। আর আপনি তখনই এ্যাড দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক অপজেকটিভ সিলেক্ট করতে পারবেন যখন আপনি আপনার টার্গেট সম্পর্কে ক্লিয়ার হবেন।
বর্তমান যুগে পণ্য ও সেবা উৎপাদনের চেয়ে পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের কাজ অধিক জটিল। আর তাই আপনার বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যসমূহ সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বার্তা কাস্টমারের কাছে পৌছে দিতে হবে। বিজ্ঞাপন বার্তা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে প্রডাক্ট সম্পর্কিত কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে বাদ না যায় এবং কোন ভাবেই কাস্টমার প্রতারিত না হন। কারণ ব্যবসা এক দিনের জন্য নয় তাই কাস্টমার যাতে সন্তুষ্ট থাকে সে দিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।
কাকে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দেখাবেন সেটি নির্ভর করছে আপনার উপর। ধরুন আপনি বাচ্চাদের প্রডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করছেন। সেজন্য নিশ্চয় আপনি বাচ্চাদের এ্যাড দেখাবেন না আবার বাচ্চার ভাই বোন স্কুল বা কলেজে পড়াশুনা করছে তাদেরকেউ নিশ্চয় এ্যাড দেখাবেন না। প্রথমে আপনাকে জানতে জনতে হবে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন সেটি কত বছরের বাচ্চার জন্য প্রযোজ্য। তারপর সেই বয়সী বাচ্চার মা-বাবাকে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন। তাহলে আপনার প্রোডাক্ট সেলস হওয়ার সম্ভবনা বাড়বে। তা না হলে আপনার এ্যাড যাদি সবাই দেখে তাহলে আপনার টাকা বেশি খরচ হবে কিন্তু সেলস তেমন পাবেন না। তাই বিজ্ঞাপন কাকে দেখাবেন এ্যাড দেওয়ার আগে বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে।(/p)
আপনার এ্যাড বাজেট ও সময় কত হবে তা এ্যাড দেওয়ার শুরুতে জানাটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি টেস্ট করাবার জন্য এ্যাড দেন তাহলে তার জন্য প্লানিং হবে এক রকম আবার আপনি যদি নিয়মিত এ্যাড দিতে চান তাহলে তার প্লানিং বা ফারনেল হবে অন্য রকম। তবে যারা নিয়মিত ব্যবসা করতে চান তাদের ক্ষেত্রে অমার মতে শর্ট টার্ম ও লং টার্ম গোল থাকা উচিত ও সেইভাবে বাজেট থাকা উচিত। অনেকের প্রাথমিতভাবে এ্যাড দিয়ে টেস্ট করতে চান সেক্ষেত্রে ১০-২০ ডলার খরচ করেন ফলাফল ভালো না হলে এ্যাড দেওয়া বন্ধ করে দেন। এটা ভুল । যেহেতু টেস্ট এ্যাড তাই গুরুত্ব থাকে কম রেজাল্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে খারাপ হয়। কোন এ্যাড কম সময় ধরে দেওয়া যেমন ঠিক নয় অধিক দিন ধরে দেওয়াও ঠিক নয়। তাই বুঝে শুনে এ্যাডের জন্য বাজেট ও দিন নির্ধারণ করা উচিত।
একাধিক এ্যাড একাউন্ট দিয়ে এ্যাড দেওয়া ভালো নয়। তাই আপনার যদি একাধিক এ্যাড একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে কোন এ্যাকাউন্ট থেকে এ্যাড দিবেন সেটি জানতে হবে। আর যদি আপনি কাউকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নেন তাহলে এই বিষয়টি আপনার জানার প্রয়োজন নেই বরং উপরের চারটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাব জেনে উল্লিখিত ব্যক্তিকে জানালে ঐ ব্যক্তি আপনি বা আপনার ব্যবসার জন্য ভালো বিজ্ঞাপন তৈরি করে দিতে পারবেন। প্রত্যেকটি এ্যাড দেওয়ার পূর্বে গবেষণা করুন। সঠিকভাবে প্লানিং করে এ্যাড দিন। সকল কাজ নিজে করবেন এমনটি ভাবা বোকামি তাই টিম তৈরি করুন কাজ বণ্টন করে দিন। আপনি স্বপ্নের পথে হাঁটলে সফলতা আসবেই।